Z সিরিজ সিম্ফনির ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ। মাঝখানে তারা দীর্ঘদিন এই সিরিজে কোন ফোন আনেনি। দীর্ঘ বিরতির পর 'Z is back!' ট্যাগসহ ফোনটি তারা নিয়ে আসে। এরপর Z সিরিজে আরো চারটি ফোন তারা আনে। তবে সেগুলো কয়েকটি দিক নিয়ে কমবেশি সমালোচিত হয়েছে। তবে এই ফোনটি নিয়ে রিভিউয়ার এবং ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
এই ফোনটি সিম্ফনির প্রথম নচযুক্ত ফোন। এখানে থাকছে 6.09” বড় ডিসপ্লে, 1.6 GHz Octa Core প্রসেসর, 4000 mAh বড় ব্যাটারি ,চমৎকার লুক আর সবকিছু একটা বেশ ভালো দামে। বর্তমানে ফোনটির নির্ধারিত মূল্য ৮,৪৯০ টাকা।
এটার কয়েকটি কারণ আছে, Z50 এর কালার অপশনগুলো আমার ভালো লাগেনি। Z15 এর Cranberry Blue এর তুলনায় Z50 এর Cranberry Blue অনেকটা পার্পল ধরণের মনে হয়েছে। আর ক্যামেরা বাম্পসহ আরো কিছু কারণে Z15 আমার কাছে বেশি সুন্দর মনে হয়। তাছাড়া, Z15, Z50 থেকে প্রায় ৯ মাস আগে এসেছে এবং এটি নতুনত্ব এনেছে ডিজাইনে সেসময় অনুযায়ী। Z50 কোন নতুনত্ব আনেনি। আর দামেরও পার্থক্য আছে অনেকটা।
সম্ভবত দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রথম ওয়াটারড্রপ নচযুক্ত ফোন এটিই। ছোট ও সুন্দর নচটি U শেপ। নচের সাথে সহনীয় বেজেল, তবে চিন এরিয়া কিছুটা বড়। ব্যাক সাইডে গ্র্যাডিয়েন্ট কালারিং করা হয়েছে, সিম্ফনির জন্য প্রথমবার। এবং গ্রাডিয়েন্ট কালারিংটা তারা আসলেই খুব সুন্দরভাবে করেছে। দুটি কালার ভ্যারিয়েশনে এভিলেবল ফোনটি, ব্লাক+ক্যারিবিয়ান ব্লু ও ব্লাক+ক্যানবেরি রেড। ভার্টিকালি ক্যামেরা ও ফ্ল্যাশ যুক্ত করা হয়েছে। বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে আমার চোখে। সব মিলিয়ে কোন দিক থেকেই এই দামে ফোনটির ডিজাইন নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকছে না। একদমই না!
এই ফোনটি সিম্ফনির প্রথম নচযুক্ত ফোন। এখানে থাকছে 6.09” বড় ডিসপ্লে, 1.6 GHz Octa Core প্রসেসর, 4000 mAh বড় ব্যাটারি ,চমৎকার লুক আর সবকিছু একটা বেশ ভালো দামে। বর্তমানে ফোনটির নির্ধারিত মূল্য ৮,৪৯০ টাকা।
ডিজাইন
Z15 এর ডিজাইন এর রিলিজের সময়ে বড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। Z50 এর ডিজাইনও প্রায় একইরকম, তবে সেটি আমি অপছন্দ করেছি, কেননা এই সময়ে এবং Z50 এর দামে আরো ভালো কিছু এবং কিছু নতুনত্ব আশা করেছিলাম। তবে, Z15 এর ক্ষেত্রে এর ডিজাইনের আমি প্রশংসা করব।এটার কয়েকটি কারণ আছে, Z50 এর কালার অপশনগুলো আমার ভালো লাগেনি। Z15 এর Cranberry Blue এর তুলনায় Z50 এর Cranberry Blue অনেকটা পার্পল ধরণের মনে হয়েছে। আর ক্যামেরা বাম্পসহ আরো কিছু কারণে Z15 আমার কাছে বেশি সুন্দর মনে হয়। তাছাড়া, Z15, Z50 থেকে প্রায় ৯ মাস আগে এসেছে এবং এটি নতুনত্ব এনেছে ডিজাইনে সেসময় অনুযায়ী। Z50 কোন নতুনত্ব আনেনি। আর দামেরও পার্থক্য আছে অনেকটা।
সম্ভবত দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রথম ওয়াটারড্রপ নচযুক্ত ফোন এটিই। ছোট ও সুন্দর নচটি U শেপ। নচের সাথে সহনীয় বেজেল, তবে চিন এরিয়া কিছুটা বড়। ব্যাক সাইডে গ্র্যাডিয়েন্ট কালারিং করা হয়েছে, সিম্ফনির জন্য প্রথমবার। এবং গ্রাডিয়েন্ট কালারিংটা তারা আসলেই খুব সুন্দরভাবে করেছে। দুটি কালার ভ্যারিয়েশনে এভিলেবল ফোনটি, ব্লাক+ক্যারিবিয়ান ব্লু ও ব্লাক+ক্যানবেরি রেড। ভার্টিকালি ক্যামেরা ও ফ্ল্যাশ যুক্ত করা হয়েছে। বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে আমার চোখে। সব মিলিয়ে কোন দিক থেকেই এই দামে ফোনটির ডিজাইন নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকছে না। একদমই না!
ডিসপ্লে
এই ফোনে থাকছে 6.09″ IPS ডিসপ্লে। 19.5:9 অ্যাসপেক্ট রেশিওর ডিসপ্লেটির রেজ্যুলেশন 1560*720 অর্থাৎ, HD+। 282 PPI এর ডিসপ্লেটি এই বাজেটে যেমনটা আশা করা যায় তেমনই।পারফর্মেন্স
এই ফোন রিলিজের সময় পর্যন্ত সিম্ফনির পক্ষ থেকে 1.5 GHz Quad Core প্রসেসরের বেশি কিছু আমরা পাইনি। তবে, অবশেষে কিছুটা আপগ্রেড করে এখানে তারা ব্যবহার করেছে Unisoc এর sc9863a মডেলের প্রসেসর যা একটি 28 nm 1.6 GHz ক্লক স্পিডসম্পন্ন অক্টাকোর প্রসেসর। এতে AI ক্ষমতা থাকছে। GPU থাকছে IMG 8322। AI প্রসেসর হওয়ায় ক্যামেরা সেকশনে এডভান্টেজ পাওয়া যাবে। এর সাথে র্যাম থাকছে ২ জিবি DDR4 র্যাম। মোটামুটি ঠিকঠাকই বলব। তবে, গেমারদের জন্য অবশ্যই নয়।স্টোরেজ
সিম্ফনি র্যাম ২ দিলেও এর সাথে রম ঠিকই ৩২ জিবি দিয়েছে। তাছাড়া দুটি ন্যানো সিমের সাথে ফোনটিতে ডেডিকেটেড SD Card স্লট থাকছে। তাই স্টোরেজ ১২৮ জিবি পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।ব্যাটারি
ফোনটিতে 4000mAh Li-Polymer ব্যাটারি সংযুক্ত রয়েছে, যেটি নন রিমুভেবল। তাছাড়া ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন HD+ হওয়ায় বেশ দীর্ঘ সময় ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ডে টু ডে ইউজে এক চার্জে একদিনের বেশি চলে যাওয়ার কথা। স্ট্যান্ডবাই মোটামুটি ২৬৫ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ পাওয়া যাবে বলে সিম্ফনি ক্লেইম করছে।
ক্যামেরা
এই ফোনের AI প্রসেসরের কারণে ছবি তোলায় এডভান্টেজ পাওয়া যাবে। ইমেজ প্রসেসিংয়ের জন্য এই ফোনের প্রসেসর বেশ ভালো। এই ক্যামেরায় ওয়েল ডিটেইলড উজ্জল প্রাণবন্ত ছবি তোলা যাওয়ার কথা। AI সিন ডিটেক্ট করে সে অনুযায়ী ছবি প্রসেস করতে সক্ষম।
রিয়ারে 13MP প্রাইমারী ক্যামেরার সাথে থাকছে 2MP ডেপথ সেন্সিং ক্যামেরা। ফলে পোর্টেট ছবি ভালো আসবে। ক্যামেরা দুটির অ্যাপার্চার যথাক্রমে f/2.0 ও f/2.4। তবে ফ্রন্ট ক্যামেরা মাত্র 5MP। এর অ্যাপার্চার f/1.9।
ক্যামেরাতে থাকছে Sony সেন্সর। ভিডিও ক্যাপচারের ক্ষেত্রে এই ফোনে সর্বোচ্চ 1080p 30fps পর্যন্ত রেকর্ডিং করা যাবে। টিম এটিসিসহ রিভিউয়ারদের প্রশংসা কুড়িয়েছে এর ক্যামেরা।
সিক্যুরিটি
ফোনটিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিক্যুরিটি থাকছে। এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি মাল্টি ফাংশনাল। অর্থাৎ, ফোন আনলকের পাশাপাশি এতে ছবি ক্যাপচার, ন্যাভিগেশন জাতীয় ফাংশন এরকম কিছু ফাংশন দেখা যাবে। এটা ব্যবহারিক ক্ষেত্রে অনেক কাজে দেয়।
পাশাপাশি টিপিক্যাল ক্যামেরা বেজড ফেস আনলক থাকছে।
অন্যান্য
ফোনটির বিল্ড ম্যাটেরিয়াল প্লাস্টিকই এক্সপেক্ট করব। ফোনটি অবশ্যই ফোরজি সমর্থিত। এতে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন Android 9.0 Pie পেয়ে যাবেন। Fingerprint, Gravity(3D), Proximity ও Light Sensor এতে থাকছে। অর্থাৎ, Compass, Gyroscope প্রভৃতি সেন্সর মিস করবেন।
ফোনটিতে স্মার্ট কন্ট্রোল রয়েছে, যেমন, Smart Gesture, Smart Motion, Smart Action, Pocket Mode। এক হাতে ব্যবহারের জন্য থাকছে One Hand Mode ।
অভিমত
পার্সোনালি, এই ফোনটা আমার খুবই পছন্দ। স্বীকার করছি, সিম্ফনির প্রতি আমার কিছুটা দুর্বলতা আছে (পারিবারিকভাবে পুরাতন সিম্ফনি ইউজার কিনা!)। তবে আর ৫০০ টাকা বাড়িয়ে Realme C2 ও দেখা যেতে পারে। সেখানে বেশ ভালো Helio P22 চিপসেট রয়েছে, যদিও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর মিসিং। তবে, মজার বিষয় হলো, Itel Vision 1 আরো ১,৫০০ টাকা কম দামে প্রায় একইরকম স্পেক অফার করছে। সে হিসেবে Vision 1 কিন্তু বেটার ভ্যালু ফর মানি।
সোর্স: অফিসিয়াল ওয়েবপেজ
0 মন্তব্য(গুলি):